![]() |
ছবি:ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর রাজবাড়ীতে |
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক আবহে শুক্রবার ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো আড়াইশ বছরেরও বেশি পুরনো রাজবংশীয় নৌবিহার প্রথা। সকালে কাহারোল উপজেলার কান্তনগরস্থ শ্রীশ্রী কান্তজিউ মন্দিরে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে ২৫টি নৌকার বহরে যুগল বিগ্রহকে ঢেপা নদী হয়ে দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ীতে নিয়ে আসা হয়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেক রূপ কান্তজিউ বিগ্রহের আগমণ উপলক্ষে পুনর্ভবা নদীর দুই তীরে হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে দিনাজপুর রাজবংশের সূচনা হয়। রাজা প্রাণনাথ ১৭২২ সালে কাহারোলের কান্তনগরে কান্তজিউ মন্দির নির্মাণ শুরু করেন এবং তার পোষ্যপুত্র রামনাথ ১৭৫২ সালে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করেন। সেই সময় থেকেই প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর একদিন আগে কান্তজিউ বিগ্রহ ৯ মাসের জন্য কান্তনগর মন্দিরে এবং ৩ মাসের জন্য রাজবাড়ীতে আনার এই নৌপথের ঐতিহ্য শুরু হয়।
তিন মাস পর রাজবাড়ী থেকে বিগ্রহকে পুনরায় কান্তনগর মন্দিরে প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী রাসমেলার সূচনা হবে।
এছাড়া ভক্তদের মাঝে ধর্মীয় উচ্ছ্বাস ও আবেগঘন পরিবেশ লক্ষ করা যায়। স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা এই মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে সমবেত সঙ্গীত ও ভক্তিমূলক পরিবেশনায় মেতে ওঠেন। দীর্ঘ ঐতিহ্য বহনকারী এই উৎসবকে ঘিরে দিনাজপুরে তৈরি হয় এক অনন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলা।