ডালিম কুমার দাস টিটু :
আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লক্ষীপুর মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। মাত্র ৪ টি চি টাক এবং একটি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বরিশাল এবং ভোলাতে। যদিও ঈদের আগে নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে তবে ঈদের এই কয়েকদিন কোন নির্দিষ্ট সময় থাকবে না বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তা। পারাপারের জন্য স্বল্প সংখ্যক যানবাহন তাহার থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের । অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে তিক্ততার ভাষায় কথা বলছেন। তবে বরিশালে যাত্রী পারাপারের জন্য একটি লঞ্চের পাশাপাশি আরেকটি লঞ্চ যদি হতো তাহলে অনেক ভালো হতো যাত্রীদের ভোগান্তি কমতো এমনটাই বললেন আগত যাত্রীরা। একটি চি-টাকে অধিক যাত্রী নেয়ার বিষয়টিও দেখা গেছে এই লঞ্চঘাটে। তথ্য অনুযায়ী একটি চি-টাকে ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২০০ যাত্রী দেখা যায় একটি চি-টাকে অন্তত মিনিমাম ৫০০ থেকে ৭০০ যাত্রী, অন্যদিকে বরিশালের জন্য যে লঞ্চটি আছে সেই লঞ্চের ধারণক্ষমতা মাত্র ৪০০ জন যাত্রী কিন্তু সেই লঞ্চে দেখা যায় ১ হাজারের অধিক যাত্রী। আবার চি-টাক এবং লঞ্চের ছাদেও যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও অবৈধভাবে স্পিডবোর্ড এবং ট্রলার চলাচল করতেও দেখা গেলেও নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কোস্ট গার্ডের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। পুলিশ প্রশাসনের কোন লোককে সকাল থেকে ১০ টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে পাওয়া যায়নি। মাত্র দুই থেকে চারজন আনসারকে দিয়ে লঞ্চঘাটের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বৈরী
এই আবহাওয়ার মধ্যে এভাবে ঝুঁকিতে যাত্রী পারাপার কতটুকু সঠিক বিআই ডব্লিউ টি এর এক কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন চুরি করে যে স্পিডবোট গুলো যায় মাঝ নদীতে কোস্টগার্ড তাদের আটক করবে। যাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন গরমের কারনে যাত্রীরা ভিতরে না বসে ছাদে উঠে বসতে চায়। আমাদের করার কিছু নেই। যাত্রীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দুইটি লঞ্চ হলে সবচেয়ে ভালো হতো আমাদেরকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হতো না। অনেকে বলেন দূর থেকে এসেছি প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করছি লঞ্চ আসতে আরো এক ঘন্টা দেরি হবে আমরা আমাদের বাড়িতে পৌঁছতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় অসচেতনতার কারণে অধিক যাত্রী বোঝাইয়ের চি-টাক টি কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই অনিয়মকে এড়িয়ে নিয়মের মধ্যে যাত্রী পারাপার করে স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি যাওয়া আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টতা।
0 coment rios: